আর্কাইভস
All posts for the month ফেব্রুয়ারি, 2011
১
কোনো জাহাজ ডুবে গেল
দিগন্ত সীমার দিকে পাখিও
লাপিস লাজুলিতে আলো পড়লো
রাণীর গলায়,এ নয়ন অন্ধ
তোমাকে এ তীব্র দেখা সয়না
২
মিউজিয়ামের প্রাচীনতায়
কিছু অক্ষর অপেক্ষা করে
শবদাহ শেষে কেউ ফিরবেই
এবারে গঙ্গার ঘাটে কেমন
বাংলা মদের গন্ধ লিখবে
খেলাধুলো হবে খুব,ধুপ ও চন্দনে
শব্দে শব্দে কোলাহল নবীনে-প্রবীণে
ভাষা এক চঞ্চল প্রত্নতত্ত্ব
৩
কারখানা-পাড়ায় একটা বেড়াল ঘোরে
মাছের কাঁটার খোঁজে বুভুক্ষু বেড়াল
পায়ে পায়ে ঘেয়ো কুত্তার মত দিন
ট্রাকের চাকায় থ্যাঁতলানো রাস্তা
পারাপার হয় রোগাপেট বেড়ালটি
নিশ্চিন্তে,কুকুরেরা এলাকায় নেই-
রাত্রি গাঢ় হয় নেপালি বেশ্যার ঘরে
তিন নম্বর খদ্দেরের তাড়ি খাওয়া ঠোঁট
ঠোঁট খুঁজবেনা, আজ এভাবেই কাল হবে
বেড়াল ও বয়স্ক বেশ্যাটির খোয়াবের ঘোরে
এখন অন্য বাজারে আঁশালো মাছ নগ্ন রূপালি
বুড়বুড়ি কেটে যাবে এই কারখানা-পাড়ায়
এক
গোলাপের বাগানে বড় একা থাকি!
নারীর কাছে এলেই
হাঁটুতে টান পড়ে নাকি?
মনে হয় না এবারে নতজানু হই?
এবারে বলি, আমাকে নিলে আমি ধন্য হব?
আজীবন আমি নারীর জন্য বাগানে,
আজীবন আমি কাঁটায়
আজীবন আমি রক্তাক্ত হয়েছি অলীক
আজীবন আমি নতজানু হতে চেয়েছি
শুধু গোলাপের বাগানের নারীটির সামনে…
জল চলে,চলাচল করে!
গোলাপেরই শুধু জানা আছে
সেই কথা,যে কথা নদীরা
বলে আর নদীরাই শোনে।
তিন
অনুভূতিকে অধরা বলি
বেদনাকে বলি তুচ্ছতা যদি
স্নেহকে অক্ষমতা জেনে
আশ্লেষকে পয়সা দিয়ে কিনি
তবে ঋতুনাম বসন্তই থেকে যাবে!
ভালবাসাবাসি কবে ঋতুনাম হবে গো গোলাপবালা?
চার
এই যে পানকৌড়িটা ডুব দিল
মাছ পেল কি পেল না ঠোঁটে
সেটা বড় নয়,
ডুব দেবে এই তো পরম গোলাপ-
চঞ্চলতাকে চুম্বন বলা চলে বস্তুত!
পাঁচ
সবাই খুব ব্যাস্ত থাকবে
সবুজ রং,
তুমিও ব্যাতিব্যাস্ত ভাব
নতুন ঢং,
আমি ভীষণ রাগবো তাতে
লালচে সং
এমন একটা দিন বাছা হোক
যেদিন খেলা এবং…
ছয়
শুনতে পাচ্ছ,বসন্ত চলে যাচ্ছে ওই?
তুমি কি দীর্ঘ্য এক দুপুর হয়ে আছ,
সন্ধার দিকে এমনকি এই গলিটাও
এই ঘেয়ো গলিটাও চলে যাচ্ছে বড় রাস্তায়
যেমন গিয়েছে শতকেরও আগে মিশে জাঙ্গালে,
তুমি মিছেই দুপুর সেজে আছ!
বারোটার ভাষ্কর শুধু স্মৃতিতে খোদিত হে-
ছায়াহীন কোনো প্রখর নও তুমি;
শ্যাওলা সর্বাঙ্গে তোমার তাড়া?
মাসের শুরুতে গোণো বাড়িভাড়া
তোমার তাড়া,তোমারও তাড়া?
তাহলে কি মধ্যাহ্ন সেজেই থাকতে ছাই,
কোন অপরাহ্ন নেই কখনো আসবেনা যেন
নিশ্চিত সন্ধ্যা পায়ে পায়ে যাবেনা রাতে?
ভান করে ঘোড়সোয়ার হতে স্বপ্নে
চিৎ হতে চাইতে মহান কুঁজো?
এমন দুপুর সেজে কতকাল রাত্রির ভয়ে?
শোনো কাঁটা গুণে গুণে দীর্ঘ্য ছায়া ফেল
মাটিতে,এবারে বসন্ত চলে যাচ্ছে,গোলাপও!
প্রিয় বাগান ছেড়ে যাওয়াই নিয়ম অপ্রিয়-
——সমাপ্ত——–[সাম্প্রতিকতম কবিতা]