<h2>
টুকরো
১
মসৃণ সন্ধের পরে লেখা আছে
তাহাদের বেড়াতে যাওয়া
জানি, কখন পরিকল্পনা চুপচাপ
কোন দিকে বয়ে চলে হাওয়া।
২
ছোট্ট কোনো কথার ভাঁজে
উথলে ওঠে হৃদয়পুর,
গাড়ি আছে? গাড়ি নেবে?
যেতে হবে অনেকদূর!
৩
এই যে এত কিছু সে সব তো বাঁশীটার জন্য
একটা জার্ণির মত পড়ে আছে
যেখানে যেতে চেয়েছি সচেতনে আর যেখানে গেলাম দুই-এর থেকে আমি সরিয়ে নিলে যেখানে গিয়েছে তাই গন্তব্য
একটা ঢেউ ফিরে ফিরে আসে
অতিশূন্যতার জন্ম হয়
ঠান্ডা
একলা
নিঃসঙ্গ
৪
জাদুকর বললেন টুপীর ভেতর থেকে পায়রা বের হবে। সকলেই জানত জাদুকর এমনই করে থাকেন। তারা মুগ্ধ হবে বলে প্রস্তুত ছিল। পায়রা বেরোলো না। পায়রা না বেরোনোতে তারা অসম্ভব হতাশ এবং দৃশ্যত ক্ষুব্ধ। শুধু একজনই জানত জাদুকর এবারে পারবেন না। সে শুধু মুচকি হেসে চলে গেল।
৫
কাজল আঁখি মেয়ে
গজলখানি গেয়ে
এভাবে ভাসালে?
পথেই বসালে?
৬
রাত্রির দু’পিঠে দু’জন
ঘুম কারো বই-এ লেখা নেই…
৭
পেট কাটা চাঁদিয়াল
তার পিঠটি কাটা ব্লাউস
হ্যাপি হ্যাপি ছন্দে
ধরে বেড়াচ্ছে মাউস
৮
কিছু ছিল, কিছু নেই
যেভাবে, সে ভাবেই
কাঁধ জুড়ে শ্রান্তি আসে
রাত্রির নিয়মিত বাসে
৯
দারুচিনিদ্বীপ, সুবাতাস নিয়ে জেগে থাকে
পুড়ে যায় ফাল্গুণের তারা
১০
এভাবে বিঁধো না ছমছমে হাত আড়াল অজুহাতে
ছায়ার মধ্যে এই চলে আসা ভাল নয়,
আমাদের দিনগুলো পলাতক, ঘুম নেই উপদ্রুত রাতে
ছবি বড় বেশী কথা আলগোছে বলে দেয় –
এভাবে বিঁধো না, যদি বা ভল্ল তুমি উন্নত বেরহেম
গরমে গরম করে মার একী, ঠান্ডায় নিকষিত হেম!
১১
তুমি কখনো নগ্ন হওনি
দিনরাত লিপস্টিক পরে ছিলে…
১২
একটা ঢেউ-এর অপেক্ষায় সানগ্লাস খুলেছিল লোকটি
স্থবির হয়ে গিয়েছে রোদ্দুর
১৩
কালো আঙুরের স্বাদে জিভ পুড়ে গেছে
হাতের আঙুলে খেলে হাতে লাগলো নোনা,
তবুও আহ্লাদ জাগে মেঘ ঘিরে এলে দুপুরে
দিলরুবা মেখে জেগে উঠি আমি জাঁহাপনা।
১৪
শিহরণ শিখিয়েছে পাতার জন্মদিন, অবাক একটি খেয়ায়
হাঁসুলি বাঁকের সাথে অবুঝ সম্পর্ক আঁকা জল রঙ দেয়ায়
এই প্রতিভাস, মুকুরের যথাযথ বিম্ব – অথচ চোরটি পালায়
চুরি থেকে, জাহাজের দৈনতা সকল, অসীম ঢেউয়ে দোলায়…
১৫
ছায়ার ভিতর থেকে আলো ডেকে আনি
এক ব্রহ্মান্ড আছে, যাকে আমি জানি…
১৬
যারা ভিজলো জানে তারাই কেমন বৃষ্টি আমি
তেমন করে চাইলে পরে অঝোর ধারায় নামি
১৭
আশ্চর্য বৃষ্টির মত ঝরে পড়, কখনো একাকী, কখনো বৃন্দগানে
ভিজে যাই, ভিজে চাই, লুঠ করে নিই যত জীবনের মানে
১৮
এমন তুমি আড়াল খোলো মাঝ দুপুরে, হাওয়া আসে
গরম আসে, ঘামে জড়ায় নিপূণ আদর শীতলপাটি
নোনতা জিভে পাথরকোঁদা বোঁটার মায়া আলগোছেতে
কৃষক হই, লাঙল চালাই, তুমুল করি অমল তোমার মাটি।
১৯
এমন আহ্লাদ তোলো কফির কাপে, চলকে যাই
জিভে জিভ আটকায়, ঝালে গোল ফুচকা খাই
সন্ধের বাতাস সন্ধিস্থানে ঘোরে ঘোর সন্দেহজনক
রক্তের স্বাদ পেলে কতবার বলেছি বাঘ বিপজ্জনক!!
২০
সুরের মূর্চ্ছনায় খুলে যাও গীটার প্রকৃতি
বাঁকে হাত পরে আর কর্ড শিউড়ে ওঠে ,
সন্ধে এভাবে এলে দোষে কি আমি-ই দুষ্কৃতি?
তুমিওকি খেলোনিকো মাঠে?
সি-শার্পে গেয়ে ওঠ গান, ঝঙ্কার একেকটা স্ট্রোকে
কমলবনে মত্ত হলে তবু, আমাকেই মন্দ বলে লোকে!
২১
সন্ধেফুল বেঁধে নাও চুলে, আলো ঝলসাক দুলে
একটু পরেই যাব
মসৃণ গ্রীবা বেয়ে নামুক সুগন্ধ, বুকের ঢেউ-এ সমুদ্র বন্ধ
আসছি, কালবৈশাখি হব।
২২
তাল, তমাল, নারকেল, অশ্বত্থ, বটের সমুদ্রে উঠি জেগে,
দিনের জাহাজ পিছু ফেলে কিছু, আরো নেবে যেতে আগে…
২৩
এভাবে না, এত কাছে না, গলা শুকিয়ে আসে
দূরে যাই, যদি ভুল করি, এই সন্ত্রাসে
বলা তো যায় না, চোখ সর্বনেশে, দস্যু হাত
এভাবে এসো না, এখনো অনেক বাকী রাত …
২৪
ভ্রুপল্লবে আঁকা ছিল জলের গতিবিধি
বাঁকা নদীর পিছল ঘাটে নাইতে নেমেছি
মাছের তুমুল ঘাই মেরেছে সহজিয়া হৃদি
ভাসার আশায় ডুবে সাঁই-এর সাধন করেছি…
২৫
যতদূর দেখতে পাচ্ছি ট্রেন লাইনের মত গ্রীষ্মকাল , সেই ঘাম এবং শীৎকার দু’পাশে ছড়াতে ছড়াতে। ব্লাউজের হুক কিছুতেই আটকাচ্ছে না, অসহায় অপমান গালে লাল হয়ে আছে। যে হাতটা ঢেকে রাখত সব, সে আপ-ট্রেন হয়ে গেছে।
২৬
যা কিছু পারিনি সে সব নিয়েই চলে যেতে হবে
যেভাবে দুপুর যাচ্ছে, যাবেই;
বাকী সব ভুলে গেছি, শুধু এই অপরাধ
আঙুলে আঙটি হয়ে থাকে
২৭
সেই মেয়েটি কোথায় গেল, সেই মেয়েটি?
কাজল ছিল পাগল করা চোখে
রুদ্রপলাশ ঠোঁটে ছিল আঁকা
বাঁকা কথার সঙ্গে ধনি নাচাত ভ্রুকুটি!
২৮
বৃন্ত সুচারু, তীব্র উদ্ধত জেগে থাকে এত বৃষ্টিতেও
ভিজে যাই, থই খুঁজে যাই, পরিপাটি কোমলের দেশে
মাখি, বড় ভাল লাগে নরমে কঠিন চারু অনাসৃষ্টি
ভেতর জল, তুমুল আশ্লেষে বাহির জলেতে মেশে।
২৯
নাভির বৃন্তে ফুটেছিল মধু-কুসুম
মৌতাতে নীল মাতাল হলাম হাওয়া
রাত্রি উতল চুম, কেড়েছিলাম ঘুম
বাঁকা নদী, ভোর-তরণী বাওয়া।
৩০
নক্ষত্র লিখতে পারি এখনো
তোমাদের পড়ার শক্তি নেই,
তাই লিখি টিয়ারঙদ্বীপ
ঝড় আসে
ইস্কুল হয়ে যায় ছুটি।
এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে
১
ঘৃণা যারা করেছিল তাদের একটা করে টুপী
মাথায় পড়লেই খরগোস বেরিয়ে আসবে
রকের ছেলেরা হ্যা হ্যা করে হাসবে
সবুজগুলো পেছন পেছন বেড়াতে চলে যাবে
ভাল যারা বেসেছিল তাদের একটি করে পায়রা
ছেড়ে দিলেই টিনের সেপাই হবে
শত্রুরা গুলি করা অনুশীলন করবে
নীল রঙ লাল না হতে অনুবাদকের সাহায্য নেবে
পাখিদের বোলো
পাখিদের বোলো বাঘটি হরিণের দেশে বেড়াতে গিয়েছে
বেড়ালের বৈচিত্র্য ক্লান্ত করেছে কালজয়ী সরল হিংসা,
পেটোয়া সাহিত্য রোগ ছেয়ে গিয়েছিল জঙ্গল ও জলপথ
দ্রুতলাফ মৃগদের অতিঢেউ স্মৃতি সপাট তানের দিকে
ডোরাকাটা প্রতিধ্বনি ছেয়েছিল মেঘ-বৃংহণ বৃষ্টির আগে –
পাখিদের বোলো ব্যাঘ্র চলনে আঁকা গা ছমছম ছায়া
শতাব্দী পেরিয়ে গেলে স্বতন্ত্র আকাশ উঠে বাজবেই।
বর্বর
উন্মত্তের মত তোকে ছেঁচে চলেছি
তুই বলছিস জংলী,
একটা বিশাল শালের জঙ্গল হয়ে
আজ, প্রিয় বর্বরতা, আসছি –
দরজা খোল, তোকে – হ্যাঁ হ্যাঁ – তোকেই ডাকছি
নানারকম ক্ষত হয়
কিছু ক্ষতকে ব্যান্ডেজে ঢাকা ভাল
ওষুধ গোপনে কাজ করে
কিছু হাওয়ায় না রাখলে
কোনোদিন শুকোয় না
কয়েকটা দাগ শরীর ছেপে যায়
কয়েকটা মুছে
নানারকম ক্ষত হয়
যদিও মানুষ একটা
দুল
আলো লেখা শেষ হতে খাতার দৈর্ঘ্য বেয়ে তিমির জিরাফ চলে গেল
অজস্র ধন্যবাদ, এভাবে প্রান্তরে একলা করে দেবার
না হলে জানা হত না এ দেশে কৃষক দুলে যায় জোছনা ব্যতীত
তৈলাক্ত বাঁশ ও বাঁদরের গল্পে ওঠানামাই উন্নয়ন
ভাল আছ আশা করি? অথবা নিশ্চিত –
দুলের অহঙ্কার ফুটুক গোপন ছবিতে!
আলো
ভেবো না নক্ষত্র, আলো আসবেই, হাওয়া বয়ে বয়ে
শূন্যতা মেখে মেখে আসবেই
কেঁপে কেঁপে, চোখের জলের মত ঝাপসাপনায়
ভিজে, আলগা হয়ে হলেও
আলো আসবে
ভেবো না নক্ষত্র,
রাত্রিকাল শেষ হয়ে যায়
নীরবতা
হিরণ্ময় নীরবতা, কোকিলের গানে তুমি ইন্টারল্যুড
সেই পোস্টমাস্টার যার বাড়িতেই অস্থায়ী অফিস –
তোমার সঙ্গে দেখা করব
হেঁটে হেঁটে যাব
ভাতের থালার পাশে বসে চিঠিগুলো বাঁটোয়ারা করব
বাঁ পকেট ডান পকেট
বাকী যা থাকবে সব দিয়ে হাত মোছামুছি আচমন করে
তুমি চলে যাবে সেই সব চিঠি নিয়ে
যা কেউ পাবে না আর কখনো
বিম্ব
একেকটা মানুষের এত বেশী বিম্ব থাকে যে দাগ দিয়ে রাখতে হয়
ক্যালেন্ডারের মত ছুটি কিম্বা কাজ বোঝাতে লাল কালো,
রাস্তাগুলো হাতের কাজের মত নতমুখে অপেক্ষায় থাকে
লোকজন শুধু বাড়িঘর দোকানপাট বেড়ানোর মধ্যবর্তী
সরণের অভাবে গমন হয়ে বেঁচে থাকে প্রতিটি আয়নায়,
আজকাল পকেটে ঢিল রাখি, মানুষ দেখলেই নিশ্চিন্তে ছুঁড়ি
অজস্র প্রতিবিম্ব ঝুরঝুর করে পড়ে যায়
এবং নিশ্চিত হই এ সে নয়, এ সে একদমই নয়।
নিশি
ধীরে, যেভাবে বন্যার জল চলে গেলে পলি এসে বসে
সেভাবেই ঘৃণা আসে, ঘন রাতের পেশী পুষ্ট হয়
মুখোশের দিকে তাকাই
ঘাম আর থুতু ফুটে ওঠে –
ভোর ভোর কেউ ডাকলে
বুঝতে পারি একটা নোংরা গল্পের জন্ম হচ্ছে
আজকাল দরজা খুলি না।
ছত্রধরের গান
রাষ্ট্র বললো দোষী, রাষ্ট্র বললো দ্রোহী
সারাজীবন বন্ধ থাকবে প্রতিবাদের প্রাণ,
মানুষ কিন্তু জানে, বিদ্রোহীদের মানে
গোপনে তাই ছড়িয়ে যাচ্ছে ছত্রধরের গান –
প্রকাশ্যে তাই জেগে উঠবেই ছত্ররধরের গান।।
@ছত্রধরের গান শব্দবন্ধটির জন্য ঋণ স্বীকারঃ কবীর সুমন
সে টুকরোগুলো গোছানো গেল না
তারপর তো তুই ঝূঁকে ভাঙা কাচগুলো তুললি, থমথমে রাগী মুখ
প্রতিদিন – প্রতিদিন, এ দস্যিপনা হজম হয়?
অফিস থেকে ফিরেই নালিশ,
ফিরেই এটা ওটা ভাঙা
এটা ওটা উল্টোনো
এটা ওটা সেটা ওটা গোটা কিচ্ছু নেই
গোটা ও ছাড়া
ও ছাড়া গোটা কিচ্ছু নেই
প্রতিদিন
বাবা কিছু দেখে না
কিছুকে বাবা কোনোদিন দেখতে পায়নি
তারপরে তুই যখন মা——-
পাকদন্ডী বেয়ে চলে যায় বয়স
অসহিষ্ণু বাঘের ল্যাজের মত আছড়ায়
এ সব সময়ের অশ্লীল ছবি –
এই দ্যাখ এখন আমার আঙুল কাঁপছে
পিঠে প্রাত্যহিক ব্যথা
উল্লাসে ককিয়ে ওঠে দায়িত্ব
টাকা নেই, বুঝলি টাকা নেই
ইস্কুলে অ্যাডমিশন নেই
প্রাইভেট টিউশন নেই
উচ্চশিক্ষা, বিদেশে পি এইচ ডি
টাকা নেই বুঝলি
কেরাণির চাকরী টেম্পোরারি
রেলের চাকরী, কলেজ ইস্কুলের মাস্টার টেম্পোরারি
পার্মানেন্ট দেশের ভেতর টেম্পোরারি রাষ্ট্র
ডিম পেড়েছে;
তুই ভাঙা কুড়োস না
গোটা আমরা ফেলে দিয়েছি
হারিয়ে ফেলেছি
শিশুদের সর্বনামে আস্থা রাখতে রাখতে
শিশুটি হেসে চলে গিয়েছে
সর্বনামের শিশুরা বিশেষ্য-বিশেষণের সন্তান হয়েছে
ক্রিয়াপদ দিয়ে সবক’টা চরণ লিখছি
কেন না এ সব হয়েছে, হচ্ছে ও হবে –
ক্রিয়া থেকে প্রতিক্রিয়া বলতে
রাত নেমে এলে
একটা লেখা বা একটা বই-এর মধ্যে
আমি তুই
কোনো একটা ছাদের নীচে ব্রহ্মান্ডের দু-প্রান্তে
একটি শিশু বিগত সম্ভাবনা হয়ে
জুড়ে রাখে আমাদের বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া
ক্রিয়াটিকে মৃত্যু অবধি এঁকে চলা
এবং ভোরবেলা বসন্ত ডাকে
বোধহয় মদের বোতল থেকে ডাকে!
শিশুটি ভোর ভোর ফাঁকি দিয়ে গেছে
সে টুকরোগুলো গোছানো গেল না।
দেশ অথবা অপারেশন থিয়েটার
৩
মে মাস আসে, লাল পতাকার শোক বেড়ে ওঠে
বিবাহের দিনক্ষণ পুড়ে যায় স্বপ্নের দ্বিতীয় প্রহরে,
তৃতীয়ের ঘৃণা সেই রাত্রের টেলিফোন হয়ে বাজে
তুলে বলবে ‘ঘুমোচ্ছিলাম’ এবং প্রেমিক বসে থাকবে পাশে
মে মাস আসে, এ সব ঠিক হওয়ার কোনো কথাই ছিল না
যেহেতু বিপ্লব খুব গাঁজা খেয়েছিল পার্টিতে
এবং তোমার স্তন ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখেছিল
রাত্রে তাকে বাড়ি নিয়ে আসার আগে
তুমি নোংরা হবার পরে –
সেই শীতের মাসিক ফিরে আসে
বন্ধু ফিরে যাবার পরে যে মাসে
গর্ভের সম্ভাবনা বেড়ে যায় গ্রীষ্ম অবধি
এবং নিছক একটা মে মাস আসে
৪
অনেকটা সুবোধের মত দেখতে, কিছুটা সরল
আড়ালে ঘুমোচ্ছে তাদের গরল,
সন্ধ্যা-শঙ্খ বাজে, উটের পিঠের বর্তুলতা আকাশে
বন্দুক ছোটাছুটি করে গ্রামাঞ্চল,
আলপথ ভাবে শহরে গেলে ভাল হত
একটা পিচ রাস্তার জীবন মনোরম –
পিচরাস্তা চেয়ে থাকে ফ্লাইওভারের দিকে
৫
ব্রীজের থেকে তুমি খুলে গেছ, এপারে এ মাটি আর আমার হল না!
যাচ্ছি।
সকাল সন্ধেকে জল দিও, খেতে দিও, উপহার দিও ছুটি
দেশময় অসহ্য পুরোনো ছন্দের মত ছড়িয়ে বাসি রুটি –
লিখে মেলাতে বসেছিলাম তোটক, নাকি ললিত বা ঝাঁপতাল
অসময় হাসি হাসি মুখ করে ঝাঁপ দিল
সামনের বিল্ডিং থেকে
অথচ পকেটে কোনো চিঠি-ই নেই গোলাপি খামে
যাকে বলে প্রেমপত্র!
হোয়াট্সঅ্যাপেই তো মার্ডারের লিস্ট চলে আসছে;
তাই যাচ্ছি,
যেখানে ভালবাসি লিখতে পারি না
সে দেশে সারাক্ষণ ক্লোরোফর্মের গন্ধ পাই
৬
আলোকসামান্য, পাতার থেকে তো আসলেন সংশ্লিষ্ট
এদিকে বন্যা হল জানেন?
অবশ্য যে তিক্ততা এবারে মাঠে
তারপর কিছু না বলাই ভাল;
কয়েকবার লিখেছি মুছেছি
দেখলাম মোছা পাচ্ছে, লেখা আসছে না
ঘৃণা করি লিখতেও আলস্য লাগছে
ঘুম পাচ্ছে
ঘুম পাচ্ছে না
</h2>