আমাকে একটা দুপুর দাও তো অন্যরকম!
কৃতজ্ঞতার কথা সবই তোলা আছে
ভুল হয়ে আছে ঝুড়ি ঝুড়ি ফুলে,
অঢেল কোনো সমুদ্র থেকে শঙ্খ তুলে এনে
আমাকে একটা দুপুর দাও অন্যরকম-
এই যে এখন ছাদের উপরে জলের লাইন ঠিক হয়
জল যাবে অলি-গলি কুচো জীবনের কলে,
এই যে এখন দুপুরগুলো জানলা বন্ধ করে
অন্ধকার হয়ে থাকে গ্রীষ্ম এলো বলে,
নারী শুয়ে থাকে ঘামে, ক্লান্তিতে পাখা
ঘুরতে থাকে হাওয়ার পাকে জড়িয়ে জড়িয়ে
অথচ ব্যার্থ ডুবুরী কোনো আস্তিক্য আনেনা
সাধ্য-বাতাস অসাধ্য হয় ঘ্যানর ঘ্যানর
নারী শুয়ে থাকে নাভিতে ব্যার্থতা মেখে
পুরুষের অক্ষমতা সন্তান হয় নিত্য যে রাতে
সে রাতকে ঘৃণা করে, ভালবেসে, থুতু দিয়ে
চুমু দিয়ে ক্রমাগত নিজেকে ভুলে নেলপালিশ,
এই যে ঘড়ির মাঝে ঢেউ ওঠে কর্তব্য বলে
বারান্দায় লাল চোখের কাক পা পা হুইলাফে
চিতলের পিচ্ছল পেটের স্মৃতিতে ঘাড় বেঁকায়
বেড়ালের সাথে যুদ্ধ হবে কামানে-কার্তুদে তাই
ক্রমাগত অস্থির অভ্যস্ত দুপুরে তবু কাঁচঘরে মাছ
এই সব কৃমিকথা বাদ দিয়ে ঝাঁঝা কষ্টের দুয়োরে
আমাকে একটা দুপুর দাও অন্যরকম কোনো এক
অঢেল সমুদ্র থেকে হেঁটে এসো বুকের চাতালে পদ্ম,
এক নির্বাক সিমেটারি জুড়ে পাতা হয়ে আছি ঝরে।