বৃষ্টি
—-
নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম এমন সময় বৃষ্টি এলো
দুপুর জুড়ে অনাঘ্রাত কুসুমজন্ম উপচে দিল
গেরস্থালি, অসন-বসন, বারদুয়ারির হাজার ধাঁধা
জলস্রোতেই ভেসে গেল, এমন স্রোতে সাধলে রাধা –
অন্য অনেক ভুল পরিচয়, মিথ্যে হাজার ট্রামের তারে
ঘুড়ির ভেজা ভিজতে ভিজতে চিলেকোঠার একলা ঘরে
গুমোট ছিল, শুষে নিল ঠোঁটের বেড়ে ক্ষতর পাহাড়
বৃষ্টিসুখে পুড়তে পুড়তে দেখতে পেলাম মেঘের বাহার ;
এ-পাড় ও-পাড় দু-পাড় জুড়েই গিয়েছিলাম নদীর ধারে
ভীষণ ঝেঁপে নামলো বৃষ্টি গত জন্মের অন্ধকারে।
জল
—
হাত ছুঁয়ে আছে জল
চল ফিরে চল,
জল ঘিরে থাকে জ্বর
ঘর, কই ঘর?
ঘর ঘিরে অতল জলধি
ডুবি নিরবধি…
যেমন
—-
যেমন ছিল নিমগাছটা তেমনটি আর নেই
এই তো হয়, এই-ই –
মেনে নেওয়াই ভাল, তাই নয় কি?
হাওয়া আমায় বলে গেল সবই ফাঁকি;
এমনটা না,
সবুজ পাতা, গ্রহের চলন, আলোর কণা
এ সব আছেই,
ভালবেসেই
আমিও আছি নদীর ধারে
খুনের ক্ষিদের অবাক দেশের ঘোর বাজারে
হাতের মধ্যে হাত বয়েছি
সব সয়েছি
যে্মন ছিল নাই বা থাকুক এই সকালে
আমার তবু ভরসা থাকুক সুর আর তালে।
কফি
—-
এমন করে বুকের উপর হাত রাখে কেউ?
কফির কাপে বেপরোয়া উঠছে যে ঢেউ,
ভাঙবে তোমা্র ঠোঁটে, আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি
জাত মাতাল বৃষ্টি, বোঝাও প্লীজ, নষ্ট হয়ে যাচ্ছি!
ছাতা
—–
১
ছাতা কুড়োনোর ভীড় হারিয়ে যাওয়া যেতে
বজ্রপাত, অক্ষর বিনিময়, ছ’বছরের উপপাদ্য
এবং জ্যামিতির মধ্যে কয়েকটা রোগা লোক
আঙুল তুলে খালি ঝগড়া করে চলে
একে কবিতা বলবে কী না!
স্বার্থপরেরা ভুলে যায় কেউ কেউ হারিয়ে গেছে
২
ষাঁড়ের চোখ থেকে লাল কাপড় এনে শিক মুড়েছি
তোমার মনে হল শিয়ালদা এনেছি
দরদাম শুরু করে দিলে,
ঘুম থেকে উঠে দেখি কী কান্ড কী কান্ড!
বৃষ্টি হয়ে গেছে
ছাতা উদোম
আর রক্ত শুধু রক্ত ভূমিতে;
ষাঁড়ের শিং খুলে বিশিষ্ট গরু গোয়ালে তোমার।
রাই / ৫
——–
নীলাভিসারে গত ইথে নীলরাত্রি চলি গেল
পাখি ডাকে, আলোনারী অব আঁখি মেল –
ঘন দেয়া ঘনাকাশে দাদুরী
হিয়াপর কইছন মাধুরী,
কালো পটে ছায়িল বিজুরী
শ্যামরতা তুঁহু যথা গোরী,
থরথর জিয়ে
তব প্রেমরস পিয়ে
সখী জাগ আব টুটি নিদ,
তুঝ মুখ দেখলুঁ
রসবতী পেঁখলু
কব ছোড়ে হম সব জিদ;
কানু কর্ণে গুঞ্জে নাম
নিশি যায় নিজ ধাম
উঠ লো উঠ লো রাই
পুলকিত ভোর ভণে তাই।।
ঘৃণা
—-
আপ্লুত দেওয়ালে শ্যামল সময় জমে যায়, সর পরে
গাছের সিনেমা নামে মায়াবী হলের ভেতর নীল
অন্ধকারে স্তন লক্ষ্য করে লোভ ওঠে নেশাসক্ত
হাতের কোনো মানে নেই
হাতের কোনো মানে হয় না,
পার্টিগুলোতে নথ জ্বলে, বিলাসিনী বাতাসে ভাসে জলদূষণ
পায়ে পায়ে নাচ,
নাচে নাচে মুখ বদলে যায়, অঙ্গীকার বদলে যায়
মেহফিল স্থির হয়ে লক্ষ্য করে হলুদের অজস্র শেড
ঠোঁটের কোনো মানে নেই
ঠোঁটের কোনো মানে হয় না,
মায়াঅফিসের থাকে থাকে প্রচ্ছদ-কেচ্ছা
বেড়ানোর কোণায় কোণায় বিকেল, সন্ধে, রাত
শরীরে পাঁক, শরীরে কাদা, থুতু ও ক্লেদ বমির শরীরে
শরীরের কোনো মানে হয় না
শরীরের কোনো মানে নেই
এই সব ‘তুমি’গুলো অভিধানে ঘৃণার অর্থে লেখা আছে
মুখের কোনো মানে নেই
মুখের কোনো মানে হয় না আর।
রাই / ৪
——–
আঙুল দিয়ে আঁকছি যে সব কথা
রাই, তুমিই জান সে সব কথার মানে,
আঁকছি পাহাড়, আঁকছি নদী, অরণ্য-জ্বর
শীৎকার ঘোর আসছে আমার কানে –
রাত্তির ভোর উথলে এল জোয়ার
সোহাগি-নাও ভাসল বিষম বানে
তুমিই জান পরাণ কথার মানে …
দহন
—-
তোমাকে পড়ব আমি দারুণ দহন
তোমাতে লিখবই প্রকাশ্যে গোপন…
রাই / ৩
———
ভোরের লগ্নে ভীষণ লেগে রাই
ওঠো ওঠো, ঘুমের সময় নাই;
ওই যে কালা,
হাড়ের জ্বালা
ওই মেখেছে সব
রাতের অনুভব,
ননদ কাঁটা তোকেই খোঁজে সই
ওঠ লো মুখপুড়ি, ঘর জ্বালাবি তুই?
বড় বৌ
———
জল চলে গেল জান বড় বৌ এমন সময়
যাকে বলে বাঘেদের দিন
কামরাঙা সাইকেলে চারপাশে কত হৈ হৈ
সবার নাকী তৃতীয় নয়ন আছে
হাতের ভীড়ে ফলের বাজার গাছে
কী তৃষ্ণা কী তৃষ্ণা!
নদীর ঘাটে কৃষ্ণকথাভীড়, অমৃত ঠোঁটে ঠোঁটে চাই
আমি তোমাকে
ব্যাথাতীত তোমার অই হাসনুহানা সাদা-কালো ছবি
সন্ধা রায়ের অনুষঙ্গ ছাড়িয়ে দেখছি
সন্ধাতারা টিপ জ্বলজ্বল করছ
আমার নৌকার ঠিক সামনে
ভাঙা নৌকার ঠিক সামনে
ত্রয়োদশ হরিণী ত্রেতাকালে
ত্রাতাবিহীন দুঃসময়ে বাঘের বনে দেয়ালা
কী আশ্চর্য্য কে আশ্চর্য্য!
নদীতে পা দিলাম
যদিতে পা দিলাম
পা যাওয়াকে নিলাম
জল চলে গেল
টাইমকল শারদীয় উপন্যাস
পাতার হিসেবে তার ভুল-চুক নেই।
আয়না ভেঙে ফেলার সতর্কতাসমূহ / ২
——————————————-
আলো ভাঙছি এইবার, কণা কণা
মিশিয়ে দেব সমস্ত রান্নাতে
ফেলে ছড়িয়ে দেব পথেও
প্রতিফলিত কিছুই থাকবে না –
ভাঙার ক্ষমতার গায়ে লেখা ছিল সমুদ্রের কারুকাজ
শিল্পকলা দিয়ে ঢেকেছি জাদুঘর
শৈলযাপন রেখেছিল স্থগিত
অথবা আয়নামেদুরতা স্মৃতিফেরত
শান্ত রাখত থৈ থৈ দিন, রাতপোড়া হাওয়া
ভেঙে দিচ্ছি আজ
ভেঙে দিলাম আজ
যেহেতু আয়নার গভীরতা
কোনোদিনও পারদ পেরোলো না।
আয়না ভেঙে ফেলার সতর্কতাসমূহ / ১
——————————————–
প্রতিকৃতি বলতে যে যথাযথ আবেদন
সমর্পণ এবং প্যাশনের দাগটান
আয়না চিরকাল এ প্রসঙ্গে নীরব
এমনই হবে এই ধরে নেওয়া,
প্রতিকৃতি বলতে চিরকাল
অক্ষত থাকবেই ধরে নেয়;
নিয়ম হচ্ছে ভারী কিছু ছুঁড়ে মারতে হবে
ভরসা ছুঁড়ে মারুন
ঠিক ভাঙবে
এ প্রসঙ্গে আয়নার ইন্টারভিউ আছে।
পাপ
—
ভালবাসা বিদ্যুল্লেখা যত
তাই আছে
বিলম্বিত ক্ষত,
পুড়ে যায় সন্তাপ
ফেরে ঘোর
ভালবাসা পাপ…
মন
—
মন মেঘ করে আছে থাক
বাতাসের গতি ভোলা যাক
যেতে যেতে যাওয়া হয় হোক
পেতে পেতে নাই পাক লোক
গান যত মুছে গেলে গেল
কী বা হবে হলে এলোমেলো –
মেঘ মন করে যদি থাকে
কিচ্ছুটি বলব না তাকে
বৃষ্টির কথা শুনব না
কোনোদিন দিন গুনব না
ভেঙে যাক এই বাঁচা-টাচা
দরকার নেই কোনো খাঁচা
যদি মেঘ মন ভরে যায়
চিঠি ছাড়া বলব বিদায়।
ভোর
—-
সাক্ষী থাক নদী
যে বইছ নিরবধি,
সারাটি রাত ধরে
লিখেছি পরস্পরে,
আমার এবং তোর
নাম হয়েছে ভোর।
রাই
—-
চাঁদ বল রাই চাঁদ বল
স্তনের গোলে ফাঁদ মেল
আসব খানিক পরেই উড়ে
ছানব নিশি দারুণ পুড়ে
গলবে মোমের স্থাপত্য
চাঁদ চল রাই চাঁদ চল
ত্রিভূজ নৌকা পাল তোলো
জ্বলবে জ্বলার দূরত্ব …
ধরা যাক
———-
ধরা যাক আমি এ শহরে থাকি না
শুধুমাত্র কৎবেল খাই
ধরা যাক আমি দেখিইনি
সেদিন কে এসেছিল ও বাড়ি
কিম্বা আজকে কোথায় ছিলে
বিষণ্ণ যুবকটির হেলান দেওয়ার থামও দেখিনি
বয়স্কা মহিলার হাসপাতাল যাওয়া
ধরা যাক তার ছেলেকেও দেখিনি মদের দোকানে
ধরা যাক আমি এ সব কিছু না জেনে বেশ কিছুকাল বেঁচেছিলাম
ধরা যেতে পারে আমি ধরে নিয়েছিলাম একেই বাঁচা বলে।
সাগর
—-
ভোরের হাতে দিয়েছিলাম নদী
বাঁধা নৌকার বিচিত্র সংসারে
সাগর যেত, বইতে পারত যদি …
সান্ধ্যভাষা / ৪
—————
শুধু জলপুলিশের পদ্য লিখেছি, উর্দির ভাঁজে ভাঁজে সমুদ্রের উপক্রম নিয়ে। পাতাগুলো ডুবে গেছে নৌকা সেজে গোপন বৃষ্টিতে, প্রকাশ্য যত ঘাম নষ্ট হয়ে। এক-আধবার নাবিকের ইউনিফর্মে সেধেছি বেলেল্লাপনা, সে কী গান, সে কী গান! যারা ভাল আছে তারা সব হেরে যাওয়া, খারাপের দল এখনো যুদ্ধে যায় তাই।
মধু
—
আঙুল ভর্তি বিষাদ বাঁচে একশো বছর,
স্তনাগ্রের মধু কয়েক হাজার…
সান্ধ্যভাষা / ৩
—————–
কালো কাপড়ের দেখা বেরিয়ে পড়েছে দৃশ্যান্তরে, টুপীর ভেতর থেকে ক্রমজাদুকর; ক্রমশ প্রকাশ্য সে সব প্রণয় খেলা। ক্রমান্বয়ে যা খেলেছো, সেই খেলা ছাপা বই হয়ে যাবে তোমার বাড়ি । সকলেই পড়ে নেবে অ আ ক খ। এভাবে শিক্ষা বাড়ে, প্রকাশিত আগুনের আঁচে।
অচেনা
—–
সন্ধার দিকে চেয়ে আছে একটি দুপুর
অচেনা দূরত্ব থেকে আসে চেনা সুর
ঘুম পায় ভীষণ ঘুমের অনন্ত ভেতরে
থেকে গেল শোক-তাপ বিধি অন্তঃপুরে …
সান্ধ্যভাষা / ২
—————-
অনেকটা রাস্তা হাঁটতে হাঁটতে বুঝে গেছি আসলে রাস্তা বলে কিছু ছিল না,
ভাবনা ছিল!
হাঁটতে হাঁটতে
কিছু ছিল না
ভাবনা
রাস্তা
এই চারটে এখান থেকে তুলে নিলাম। ২০১৬ কে দিলাম। সে বললো, গ্রাম ভাবলে লাল মাটির এবং শহর ভাবলে অ্যাসফল্টের গন্ধ আসছে। খুব প্রেডিক্টেবল।
২,০,১,৬ একে একে চারদিকে বেরিয়ে গেল। অশ্বমেধের অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে।
হারাধনের দশটি ছেলে হলে দশদিকে যেত: এই ভেবে মদকে চুমু দিলাম।
লেখক
—–
শোকের চিঠিগুলো মন দিয়ে পড়ি
পরিচিতি নিষ্ঠ পাঠক
আনন্দে অন্যদের ডাকাডাকি চলে
তারা সব যৌথ লেখক।
সান্ধ্যভাষা / ১
—————-
দীর্ঘকালীন সাপের স্মৃতি উঠে আসে খোলনলচের বাইরে
বীণনাচ থেকে ঘৃণা, ইচ্ছেপূরণের সিনেমায় পপকর্ণ দস্তুর;
তারা অক্লান্ত, মজুর প্রকৃতি বলে টকটকে রোদে ইয়ার-আহ্লাদ
খেলে খেলে শহর গড়ে ভাঙে। চায়ের দোকানের বন্ধু থাকে না।
ধরণ
—-
খেলে যায় আলোছায়া মৃদু পাহাড়ের উত্তুঙ্গ গায়
আমি আঁকি যোগফল, আঁকি তার পেলব গড়ন
স্পর্শের শিহরণে রাত জেগে ওঠে প্রতি রতিপ্রিয়
মেখেছি কাদার মত তবু দৃঢ় জাগে, এমন ধরণ …
বাড়ো
—-
বাড়ো, তুমি খেলার মধ্যে বাড়ো
সাপ হয়ে দংশাও
এবং ওঝা হয়েও ঝাড়ো,
সন্ধে আসছে নির্বেদে ভরপুর
ছক্কাপুটে যাচ্ছটি খেলতে
সাপলুডোতে হুল্লাটে সুরাসুর
পারো, তুমি কত খেলাই পারো
ব্যাঙের মুখে চুমু দিয়েই
সাপকে জাপটে ধর
সন্ধে আসছে থ্রিলারে ডগোমগো
আমিও চালব হাতভর্তি দান
সাপ তাড়াবো মই বানাবো লোগো।
মনে পড়ে না
—————
বৃত্তান্তের ভেতর ফুটে থাকে জলছবি
নগ্ন হয়ে যায় দিনক্ষণ
খুব আদিখ্যেতা চলে ওখানে
শব্দ পাই হুল্লোড় খেলার,
মিথ্যের দু-দিকে ধার
যেতেও কাটে আসতেও
এমনই একদিন বদলে গেছিলাম
আর কিছু মনে পড়ে না।
দার্জিলিং
———–
শীতের কথা সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেলে
চিলেকোঠা আসে
গরমের, ঘামের
হিস্হিস্ শব্দ শ্বাসের
নাকফুল জুড়ে বুজকুড়ি
শঙ্খ লাগে
সাদা কালো শরীর
বাষ্পে ধুসর,
আক্রোশ তছনছ করে
এক ছায়া
ছায়াঘর থেকে
বৌদি হয়ে ছাদে জামাকাপড় নাড়তে
অন্য ছায়া দেবরের চিলেকোঠা-ঘর
কলেজের অঙ্ক মিলে যায়
অঙ্ক খুলে যায়;
দুজনের কেউ দার্জিলং যাবে না।
তীর্থ
—-
তীর্থ দিও ফেরার মত রাতবিরেতের একলা বাড়ি
তেমন ভাল না বাসলে, ফেরার হয়ে যেতেও পারি
এই যে পথে, লোকের মতে উড়নচন্ডী অবুঝপারা
সত্যিটাতো তোমার জানা, বলে বলুক সারা পাড়া –
তীর্থ হবে ফেরার পথে নিষুতরাতের একলা বাড়ি?
তুমুল ভাল না বাসলে, উল্টোপথের ধরব গাড়ি।
মেঘ
—
মেঘ আসে, বৃষ্টি আসে না
সব ভাসে, কেউ ডোবে না।
চাইলে ভালবাসাই যেত
————————–
চাইলে ভালবাসাই যেত, চাইতে হত দু’হাত ভরে
বৃষ্টি যখন নামার সময়, রোদ ওঠালে অকারণে,
লোহার শিকল, ভুলের পাঁচিল, নানারকম মস্করাতে
ফিরিয়ে এনে রোদের উঠোন অহেতুকই ভুল শ্রাবণে
চাইলে ভালবাসাই যেত, চাইতে হত আকাশ জুড়ে
মেঘের মত মেঘ হল না, জলের সোহাগ মরল পুড়ে।
ডুব
—
উঠে দাঁড়াবার অভ্যাস থাকলে ধুলো ঝেড়ে ফেলে মানুষ,
ঘুরে দাঁড়াবার ইচ্ছে থাকলে ভয়গুলো থমকে যায়
নেড়ি কুকুরের চিৎকারে ঢিল খাওয়ার ভঙ্গীমায়,
রুখে দাঁড়াবার হিম্মত থাকলে চোখ রাঙানিগুলো নিবে আসে
পালাতে চাইলে পা স্থির হয় না কোথাও
একেকটা অজুহাত খোঁজে
ডুব সাঁতার দেয়