আকাশ নিল
আকাশ নিল মেঘমন্দ্র অক্ষর
ঠোঁটে ছিল বিষাদ মাখানো,
পায়রা কোমল স্তন
এ মায়া বাড়ালো,
ফানুসের দিনলিপি ফেলে
এলে
পূর্বাপর পরিণয় ছিল,
সিম্ফোনি কবে ফিরে গেল?
ঠান্ডা লাগার পরে
নগ্ন আদরে উদ্দাম
মহাজাগতিক
মুখে স্তন, বাথরুম
অপার্থিব যেই লেখা হল –
ঘুরে দাঁড়াও
ফিলহারমোনিক
অর্কেস্ট্রায় এখনো
নিপুণ চেলো
ব্যবধান রুই ও কাতলা-বই
১
প্রয়োজনীয় প্রতিটি সম্পাদ্য
দেওয়ালের ওই পারে হেলে
সযুতলতাটি
ব্যবধান রুই ও কাতলা-বই
২
ব্লার্ব, কবি প্রশস্তি বেলো করলেন
সুন্দরের, শাড়ির, ভাঁজের আড়টান
সুরমা, বেলোয়ারি নকাশী-আলেয়া
প্রেমিকা লিখবেন অমরত্বে
৩
গাছ, বৌ-কথা উড়িয়ে ভায়লেট
ছবি বললেন মুহুর্ত অ্যারেস্টেড
উদ্ধত স্তন পেলে সফর দুরন্ত
আলতামিরা অধিক কাল দেবেন
৪
ষাঁড়, বাহান্ন ব্যাঙ্কিং সেরে গত ছয়দিন
এ পাড়া ও পাড়া বিছানা পেতে পেতে
কারেন্সি কাপ্তানি ছবিতা পেরে প্রতিশ্রুতি
ডিম ও মরালী-গ্রীবা যৌথে আলোকবর্ষ
৫
স্পেস, সঠিক কলসেন্টারে ডায়ালদক্ষ
চুমু চাটাচাটি জিনসের জিপারে লটকে
লুট লে, মস্তি মার লে জামা রাত্রে পরে
টেম্পোরারি বা পার্মানেন্ট, সার্ভিস দেবেন
৬
ঘুম, লিখতে লিখতে উঠে গিয়েছে লোকটা
হাত কেটে এসেছে পাতবে না বলে
দেবে না কথাটার পরে মোড়ে জটলা
বইটি হয়েছিল এবং কখনো হবে না
৭
মাটির হাতের বিশ্বস্ততা রঙ-এ আলুথালু
রুক্ষ আহ্লাদের মৃত্যু চমৎকার ভাষ্কর্য্যে
ব্ল্যাকহোল এবং ব্রহ্মান্ড সম্প্রসারণ জুড়ে
ধানক্ষেত রাখবে বলেছিল সরপুঁটি মাছটিকে
ক্ষত বিষয়ক প্রবচন
১
গোলাপ যা ক্রমে জমাট রক্তের দিকে
নষ্ট হয়ে যাবে
২
হঠাৎ বুঝতে পারা যে পাঁচজনের মধ্যে
আরেকজন মাত্র
৩
প্রেমপত্রের উল্টোদিকে স্যুইসাইড নোট
৪
শূন্যের অবিশ্বাস্য বাগান
যেখানে নিঃসঙ্গতা ফলে আছে
৫
ঘোড়া সাঙ্ঘাতিক আহত
গুলি করে মেরে দাও
৬
যে মারে সে জানে
নিহত কী ভাবে বাঁচতে চেয়েছিল
যেভাবে যায়
একটা বোতাম ভেঙে যাওয়া
আরেকটা বোতামের জন্মদিন,
রাত্রের মদ
এবং পথ
গুণিতকে ভাবীকাল
তামাশা-পরিস্থিতি –
জ্যোতিষ্ক সেভাবেই যাবে
যেভাবে বোতাম যায় না
যাত্রা-মঙ্গল
১
জানি কখন দৈর্ঘ্য কমে
পাহাড় থেকে নামে
বিমান থেকে নামে
বাসনাপৃথিবী,
আয়না ঘুম ভেঙে
উঠে যাচ্ছি
ব্যাগপত্র গোছানোই –
যে ঘরের দরজা
রাত্রে খোলে না
দিনে চৌকাঠ
সে আমন্ত্রণ-পত্র নয়
জানি কোথায় ছায়া আদতে
২
অজুহাত মাখা
দূরত্ব গোছানো
শিশিতে সাজানো জল
কড়ে আঙুলের ছড়ে
বেহালা বাজে না
ক্ষত চাটে সোহাগি বেড়াল
অধিকন্তু কে একটা মারাও গেছিল
৩
পকেট উপুড় করে ঢেলেছি
ফেরার জন্যেও কিছু নেই
এ দেশে ভিক্ষাতেও আর নেই
ঝিনুক নেই
সোহাগচন্দন নেই
আচমকা ডেকে ওঠা নেই
সিঁদুরে গর্জন তেলে
ফ্রেম ভাসছে
প্রতিমা নিজেই ডুবেছে
ঘড়ি-ই দেখেছে
আততায়ীরা কখন এলো-গেলো
৪
আপনারা এগোন, বেলা করবেন না!
কিছুকাল হল ক্যালেন্ডার পড়তে শিখেছি
সাক্ষরতা হাত ছেড়ে যাওয়া
মানেটা পরিস্কার
যাতায়াত এই আর
এক-আধদিনের মামলা
পর্দা দুলছে
এগোন,
স্থিতিশীল আবহাওয়া
এবং স্ট্রবেরি গিফট আইটেম
৫
কমলালেবু রঙ
ম্যাজেন্টা,
ভিগনেট স্প্রে
এত কোলাহলে
নীল কোথায় ডুবে গেছে,
সমুদ্র কাদের যেন পাশের বাড়িতে
ভাড়া এসেছিল
৬
কার চুল দাঁতে লেগে আছে?
রাত এসেছে
নক্ষত্র পোড়ার সময়
পথশিশু কার্ণিভাল
বাকীটা সময়
আদিয়োস্
বিদায়
বিদায়
দুষ্টু সরস্বতী
ভেঙে ভেঙে মিথিক্যাল পা
যা সমুদ্রে যা,
কোমল স্তনের স্তবে দুষ্টু সরস্বতী
নদীটির বাঁধা ত্রিষ্টুপ মোহনা –
পা, তাকে আজন্ম পা
বিতংস কষ্টের শব্দজ্ঞাপনে
খা, কবিজন্ম খা
বুক ভেঙে ভেঙে অপার যাতনা
গা, তার গান গা
জ্যোৎস্না-প্রিয়, এই অপরাধ
এই যে জড়াচ্ছ বাসনে-কোসনে
হাতের রেখায়
এর মুদ্রাদোষ
বিরুদ্ধে চলে ক্রমাগত
শিরোনাম ভেঙে উঠে এসেছে
বহুবচন বেঁচেছে একলা
শিকড়ে গাছের গাফিলতি
স্তব্ধতা ফলে ও পাতায়
স্থবিরতা মাখামাখি
এই যে জড়াচ্ছ লতায়
প্রশ্রয়ে, অপারগতায়
মুদ্রাদোষ একে
এঁকেছে একাকী
ক্লান্ত হয়ে গেলে
দেখাবে কি পাহাড়ে জোনাকি?
শিরোনাম ছিঁড়ে উঠেছে উন্মাদ
জ্যোৎস্না-প্রিয়, এই অপরাধ
অথবা জ্বলে যাচ্ছে
অথবা জ্বলে যাচ্ছে মহাকাশ দ্রুতে
জলে লয় কেটেছে পরমাদ
ডাকলে, দেরীতে ডাকলে কিছু;
ছুটি ছিল, সাহসের পা বেঁধে
কতবার খাদের কিনারে
ফিরে ফিরে গাঢ় ফিরে যাওয়া
কই আর সেই ফিরে এলে?
মাথার আদ্ধেক জুড়ে ছায়া
মায়া নেই খুনের অন্দরে
তুচ্ছ করেছি যবে নক্ষত্রবন্ধ
থেকে গিয়েছিলে কপাট আড়ালে;
ব্যাথা সব গায়িকার নীলা
চলেছি কুসুম-পরিস্থিতি ছেড়ে
ভীষণ রৌদ্র হওয়া অদূরে
বাড়ালে হাত,
বড় দেরীতে বাড়ালে
উঠে আসে মুখ
ভোরচলাচলে তরঙ্গ তুলে
উঠে আসে মুখ
ডুবে যাই পাতালপ্রবাহে
অঘোরে অনন্ত সুখ।
চুম্বনে আশিরনখ
আহ্লাদে চিবুক
ছুঁয়ে বাঁচি
বিনোদিনী বুক।
শীতপ্রস্তাবনা থেকে
১
শীতকাল ও পর্ণমোচীবৃক্ষর মধ্যে
ট্রেঞ্চ কাটা,
সৈন্যবাহিনী, অনুগতজন,
শাসক ও প্রীতিভাজন,
পতাকা সকল হাতে যুযুধান
চিরহরিৎ দূরে দাঁড়িয়েছিল
তাকে কেউ-ই চায়নি
২
দু হাজার পনেরো ঘন্টা
যেভাবে ইচ্ছে খরচ হোক,
অথবা ক্ষণের সংখ্যাজুড়ে
উড্ডীয়মান ঘুড়ি
রাত্রি হলে গ্যারাজ ফিরে যাবে
হাঁটায় কমা পরে যেতে
যেতে
যেতে
যেতে
ও
না যেতেই
পূর্ণচ্ছেদ হেসে দাঁড়ালো
একটি একক বই
প্রচ্ছদে শেষ হয়ে যায়!
শীত চলে যায়?
৩
প্রকাশস্পর্ধা যে শব্দে লেগে
ইতিহাস ভালবাসা নামে
শীতকাল বিশিষ্ট আগুন
পাহারচূড়া, বিজয়-পতাকা
তাকে ফেলে আরোহীরা
নীচে নেমে জনপদে
তুষারমৌলী, ওকে ঢেকো শীতে
পূর্বাপরে মেলালে অলীক
৪
যে আগুন জ্বলেছিল
মনে রেখ তার প্রতিশ্রুতি,
কিছু গ্রীষ্ম-জোনাকির পাখায়
বাকী শীত-বিরোধী গেরিলা,
অন্ধকার ফুঁড়ে উঠবে
স্মৃতির কাফেলা
কংসাবতী
কংসাবতীর দিনে অগভীর জলের প্রবাহে
চিকচিকে বালু, সোনামুঠি আলো,
সেইখানে যাব
জলের ভেতর জল অবশেষ কাল
মাছেদের খেলা হব অবিরল
জ্যামিতির অবসন্নতা পায়ের পাতায়
ভোরে উঠে একদিন হেঁটে যাওয়া যাবে তবু,
ইচ্ছে হলে একদা এসো
জললেখা নাম সুগন্ধ রেখে যাবে
শালপাতা মৌতাত জুড়ে
রান্না সাজাবে
যে জীবন নয়
যা কিছু হল না
সব মেখে কসমিক পিকনিক
অবলুপ্ত গানের সভ্যতা
মানুষের ধান ছিল একদিন
নির্জন
অবসর ভেঙে ফিরে এল নি:সঙ্গতা
কাল থেকে তার ক্লাস,
বই-খাতা গুছিয়ে
আঁচড়িয়ে মানুষের চুল
চলে যাব –
বছরের শেষে পরীক্ষা দেব না
হওয়ার লক্ষ থেকে সরে গিয়ে
ওঠাউঠি ক্লান্তিকর
সেই অবসরে অবশ্য চলে যাব নির্জন
ফেরার কলেজ-ছুট কেউ একজন
টুকরো
১
বিজলীঝটক পিঠে তোমার
সরব আঁকিবুকি,
ভোরসমুদ্রে নিয়েছিলাম
জাহাজডুবির ঝুঁকি।
২
গাছ-দেশে খুব বেঁচেছিল
শহরে গিয়েছে ম’রে?
টুকরো ছড়ানো ছায়াপথে
আদর আসবে না ঘরে?
৩
বহু পাঠের পরেও যে বইটা
খুললেই টানটান
অন্য একটা আবার
তার সমাপ্তি লেখা হয়নি,
বন্ধ রাখার ভুল করে
খেলতে গিয়েছে যারা
নতুন গল্প তাদের জন্য নয়।
৪
চর্যাপদ খুলে যায় অলীকের দেশ
একবার উঠে দাঁড়ালেই,
যুদ্ধ জানি, অপচয় খনিজের
গাছেদের শুয়ে পরা বেদনার ঘুম,
প্রাচীন থেকে ধারাসংকট
ভোরের ট্রাক ও খালাসীর তুচ্ছে
এক শিলালিপি,
এ সব উন্মত্ততা, বিভ্রান্তি ও পরাজয়
লিখেও রেখেছি যথাযথ,
আজ শুধু ব্যক্তিমানুষের কাছে
পেয়ারা পারার উদ্যম প্রত্যাশা,
আরেকবার চাই কেউ
চোখে চোখ রাখুক
ঝকঝকে হাতে একটা রুমাল দিক,
বলে উঠুক –
‘তথাগত, শান্তির দিন শেষ’,
লিখে দিক দেওয়ালে দেওয়ালে
‘এবারে যুদ্ধ’
প্রেমে ও যুদ্ধে
শুধু ঘুরে দাঁড়ানোর রীতি,
অলীকের দেশে নতুন সাহিত্য।
৫
নিপাতনে দিন দুলে যায় চৌধারে
কিছু উগ্র গাছ ডেকে আনে পথঘাট,
ছুঁতে চাই, বিশ্বস্ত হাতে ভাষা লেগে,
আসবে না? এমন ত্রিমাত্রিকে জান
ঠিক কতটা একলা? অযথা সূর্যাস্তে?
ফুঁড়ে ওঠে আর্তনাদ অধিত পাথারে,
নাম ধরে ডাকি পূর্বজন্মে
এ জন্ম নিরালা চলে যায়…
৬
জনপদ-জল কেটে জাহাজী জাঢ্য,
কোমলতা ঢেউ ওঠে দুটি,
মঘা ও অশ্লেষা
নক্ষত্রনিচয়
ধীর লয়
সমাহিত হয়,
এমনো মৃত্যু আনে
কদাচিৎ ভোর –
ঊষস্তি, বাড়ি চল
মুখোমুখি মরি!
৭
কররেখা ধরে রাস্তার বুনানিচিহ্ন
ফুটে উঠে মিলিয়েছে
যেভাবে ফোটার বন্ধু ঝরে যাওয়া,
সেই কুয়াশায়
ভেঙে ভেঙে আসি
গিয়ে গিয়ে ভাঙি
শূন্যের তৃতীয়তে কিংবদন্তী
নারীটি ভাষ্কর্য্য রক্তস্রোতে
কবিদের ঘুম শীতকাল
নাভিছুঁয়ে মৃত্যু আসে
প্রেমের কৌণিকে ভোর
রাত আসা-যাওয়া করে
বন্ধু চিঠি লেখে বেঁচে থেক
৮
বুকের মধ্যে লিপ্ত ছিলে ভোর,
তখন আমরা জন্মপোষাক,
সেদিন আমরা ঘোর,
শীতেল হাওয়া কাঁপাচ্ছে রাস্তায়
নেই পরোয়া
আসছি আমি বাঁচার আস্থায়,
শীত করে না বুকের ভেতর তাই,
বসন্ত বাহার বাজে,
মনে পরে গহন আঁখি
সেজেছিল লাজে।
৯
শীতের লেপে মুড়ে যে পাহাড়
এমন মুঠির মাঝে তাকে দাও,
কপালের আচমকা ভাঁজ সুন্দর
জলরঙে মুছবে, একবার শুধু চাও,
তন্বী, শ্যামা, যে তুমি শিখরিদশনা
গজদন্তে ঝিকমিক, ভুলব না, ভুলব না
ছুঁয়ে ছাই আকুল সন্তাপ
সামনে দাঁড়ালে তবু
আলোময় ওঠা যায়,
ভালবেস সুনিবিড়
ভোর আসুক নাই বা
সব যাওয়া তোমাতেই,
ঊষসী, রেঁধে দেব, বেড়েও
বেড়াতে চল
ছিন্নভিন্নতার গান গাও,
আমার তো আর কিছু নেই
যা কিছু থাকলে
ঘর হতে বাঁধা দিত না তারা,
পালা-পার্বণ সকলেই দেবে
নিশ্চুপ শ্মশান দিলাম
শুরুর নিশান বাকীরা তুলুক
সমাপ্তি তোমাকে দিলাম।
বুনে আছি আলো-অন্ধকারে
বেরোলেই বলব,
সেই বিনুনির কথা আজ বলব
নিশ্চই দোপাটি খুলব
এখন দুলব
আদর-ভরা গন্ধ ভোরের
হলুদ খুনসুটি,
একটি হৃদয়, রাতরমণী
বেহায়া কাব্যটি,
উজার করে নাও বন্যা
ফসল দিয়ে যাও
সর্বনাশের কাছাকাছি
সুরমানদী বও।
১৩
‘কতদিন বেঁচে ওঠেনি’
বলে সূর্য অস্ত যায়,
লোকটা শান্ত ধীর
চলে যাওয়া পা’য়
দরজায় অনুচ্চারিত
অশান্ত বিদায়
আগাপাছতালা মাখে
হৃদয়ে, আত্মায়,
বহুদূর যাবে,
কে জানে, কোথায়?
চলে যেতে থাকে
ভালবাসাময়।
১৪
আঙুলে আদর লেগে আছে, দুরন্ত
ছটফট করছে
আঙুলে প্রেম লেগে আছে, চূড়ান্ত
ফিরতে চাইছে না
লেপের মধ্যে ডুবে মরতে ইচ্ছে
পারছি না
কিছুতেই
বাঁচাতে পারছি না
১৫
ভালবাসির মধ্যে আকাশ রয়েছে
ভালবেস-তে অবকাশ,
ভালবাসিতে শীত রোদ জড়ায়,
ভালবেসতে বিকাশ।
১৬
আঙুল খানেক জলেও ডুবে যায়,
ভাসতো, অথচ দেখ নিরুপায়,
বিঘতখানি নদী কিনে নিয়ে পা’য়
নুপুর- সেজেছে অতি সুষমায়;
কবি, লিখেছে জীবন,
প্রেমে, অবেলায়।
১৭
এই বেদনা গীতিমূলক
এই বেদনা প্রীতি,
ধ্যানের মধ্যে বাড়ে
এমন রীতিনীতি,
দেওয়ার ছিল উপুড়চুপুর
দেওয়ার ছিল দিন,
যা পেয়েছি ভালবেসে
অনেক যে তার ঋণ,
যাবার সময় নিকট বা দূর
ফেরার গাড়ি নেই,
তবুও ভোর মেখে গেলাম
তোমার হাসিতেই।
১৮
পদ্মকাঁটা লেগেছে
স্বর্গীয় বন,
কবে ডাকবে
নন্দনকানন?
জ্বলে যাওয়া রাত
প্রত্যহ দীর্ঘ
প্রসীদ প্রেয়সী
এনেছি অর্ঘ্য।
১৯
হাওয়ায় যা এসেছে হাওয়াই নিয়ে গেছে
আমার দোষ ততটুকুই যা লেগেছে গাছে,
বাজার ছিল, আছেও বহু তিনসন্ধে জুড়ে
পেরিয়েছি সে সব কবে তীব্র ঘোড়ার খুরে,
যদি আমায় বুঝতে পার মেঘ ঘনিয়ে এসো
বর্ষা হবার ভরসা-জীবন ব্যপক ভালবেসো।
২০
চাদরের মলাটে পাহাড়
দ্রুতগতি উঠছে নামছে
বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছি একা
বুকে সেই শঙ্খ লাগছে,
শীত বড় সন্ধে হয়ে আসে
রাস্তারা একা কথা বলে,
তুমি ছাড়া বড্ড অচল
এ শতকে একে দিয়ে চলে?
অ্যাবসার্ড
“Solitude gives birth to the original in us, to beauty unfamiliar and perilous – to poetry. But also, it gives birth to the opposite: to the perverse, the illicit, the absurd.”
― Thomas Mann, Death in Venice and Other Tales
১
এই মাথা ধোওয়া শেষ
বিচিত্র নারকেলবাগান
কেউ কেনে বনফুলমালা
আমাদের সাবান সাবান।
২
দু’দশটাকা পেলে
বাংলা খেয়ে ঘুরতে পারে
নিম্নবিত্ত ছেলে,
বাঘের নখ খেলে
বীর্য বাড়ে অনেক জানে
উচ্চবিত্ত ‘পেলে’।
৩
ছায়া পরে সারি সারি চলে
শাড়ি শাড়ি চৈত্রের সেল
শীতের দুপুর খুঁজে মরে
পাকা কৎবেল।
৪
কেনা হবে বেচা হয়ে গেলে
বেচারাম সুকিয়া স্ট্রীট যায়
কেনারাম শুকিয়েই মোলো
নিমতলা সব কিছু খায়।
গল্প-সল্প
অতঃপর ফিরে যাওয়া যাক, দক্ষিণে আচমকা গল্পে
আতা গাছে লাউডগা সাপ, হেঁটে-চলে এ শব্দকল্পে
বাথানের সুস্পষ্ট বেড়া, অধিকার কেটে বসে আছে
ছক ছিল চকচকে জাল, মাছ বেচে বেঁচেছে অল্পে;
তোমাদের খবর-সবর ভাল?
নামলো কি সাকিন-ঠিকানা?
ইস্তাম্বুল যেতে ঘোর লাগে
বেলেডাঙা তবুও তো চেনা,
এই ভেবে উড়ে যায় পেঁচা
অস্থির আকাট আকাশে
যে এখন কালো হয়ে আছে
শিকারী শিকারে গিয়ে মেশে;
নতুন কাব্যের ভাষা হাঁটে
টলমল বাংলা আসরে
মধ্যরাতে বর বদলে যায়
লালাসিক্ত বিবাহ বাসরে –
উত্তর করেছিল হাওয়া
মোরগের ঝুঁটি হয়রান,
কবে যে কোকিল সেজেছিল
যাত্রায় ঝুনো শাজাহান,
বামে থাক পোড়ো মন্দিরকথা
গর্ভগৃহে নিবাতকল্প,
মিথ্যেগুলো সব যায় ধরা
চেনা যায় সব গল্প-সল্প।
ভালবাসা
পিঠ-নদী নেমেছে প্রপাতে,
কিছু ব্যাথা আঙুল সন্দেশ;
সুরধুনী, পাতাল প্রবাহিনী
ঠোঁট রাখি, পুড়েছি বিদেশ –
মুঠোস্তন কাদামাটি খেলে
বৈভব প্রেম হয়ে আসে
বৃষ্টি নামে চরম প্রবাসে,
ভেতরে ভেতর গিয়ে মেশে;
আমি জানি খুন হয়ে যাব
ভ্রমণ স্তব্ধ সাত পাকে,
সংসার একলা ছোট্ট ঘর
চলতে ফিরতে স্থান-কাল ঠেকে –
জান বা নাই কিছু জান
আমি থাকি যেমন তাপস,
ধ্যানে বাঁধি আলোক-রেখাটি
অভিমান সুর হয়ে ভাস,
সুন্দর, তুমি গান গাও
সেই সুরে বাঁচা এসে বসে,
আমি বুঝি আমি ব্রাত্য খুব
নির্বাসিত অতিদূরদেশে;
স্মৃতিকথা কিছু লিখবো না
লিফাফা না খোলা যত চিঠি
অনন্তের কণামাত্র ঢেউ
অনুভবে চকিত সে দিঠি,
এই আমি ফেরারী বাতাস
জানি ফেরা আর তো হবে না
গড়াপেটা খেলাধুলো মাঠে
বদলেছ তুমিও ঠিকানা,
সকাল তবুও এসে যাবে
পায়ে মেখে পথ নিদ্রাহীন
হেঁটে হেঁটে শেষদিনও যাব
যাওয়ার শক্তি যতদিন,
আশপাশ জনশূণ্য করে
বারাণসী বারাণসী হব
শ্মশানে মেখেছি কিছু ছাই
গান আমি তবু লিখে যাব,
তাদের পায়রা ঘরে সুখ,
সেতারের ঝালা অবিরল
তাদের কুশল হোক খুব
হাতে তুলি অমিয় গরল;
উল্লাসে উল্লাস বেজে ওঠো
শূন্যতা নিলাম নিলাম,
অনুভব স্মরণাগত যত
ভালবাসা তোমায় দিলাম।
অন্ধের গানে
সকল অন্ধের ভিক্ষায় ক’টি গান থাকে
যতটুকু জীবন কুড়োলো
ছেঁড়া যন্ত্রণা, তীব্র শীতের গায়ে ফেলে
যা হয় জুড়োলো
আড়বাঁশীডাকা ভাঙা নৌকোতে
যে দিন ফুরোলো,
প্রকৃত অন্ধের গানে ভিক্ষা লেগে থাকে
চাঁদে চাঁদ
হাতমুঠো ঐশ্বরিকে গিয়েছে যদিও
সে’ সব প্রমাদ
গোয়েন্দা- তদন্ত
১
সাদা বোতামের উল্লাস ডুবলে
কুসুম পরিস্থিতি খুলে যায়,
মাংসের দোকানে যারা কাল
খুব নিরীহ, সহনাগরিক
কেউ আজ নতজানু নয় –
নবীনা পশ্চিমে গেছে, অথবা দক্ষিণে?
এক-আধ আশার খোঁজে জিঙ্গল বেল,
অন্তর্বাস উত্তর বারান্দায় মেলা
উধাও লিখছে তাকে বাঁকে,
গোয়েন্দা ডাকাডাকি হল
পরিপাটি রহস্য উপন্যাস
আজ থেকে ধারাবাহিক শুরু
লেখা হচ্ছে যত আগামীকাল;
এবারে কি খুন না অপহৃত
ধর্ষণ, ফুল চাপা পূজো?
এ সিরিজে বিস্তর বন্দুক
সব যেন মারিও পুজো!
গোয়েন্দা- তদন্ত
২
একে দুয়ে গ্রন্থি খুলে গেছে
হাট খুলে বুকের দোকান
যুবকেরা ঢেলে নিয়ে গেছে
যুবতীটি তাকলামাকান,
নৈরাজ্য এবার এলেন
খর্বাকৃতি, বিষণ্ণ চেহারা
কঙ্কাল কোথায় রয়েছে
কারা কারা দিয়েছে পাহারা?
নৈরাজ্য গোয়েন্দা সাজলেন
মাথায় চাপিয়ে নিলেন টুপি
ঠোঁটে সেই খাঁকি রঙা বিড়ি
নৈরাজ্য ভারী বহুরূপী;
কারা এসেছিল? ভালবেসেছিল?
ঘৃণা দিয়েছিল কারা কারা?
একটি তালিকা ঠিকঠাক
আচমকা রাতকড়া নাড়া,
সকলেই সেজেগুজে বসে
বাহানা বানানো ছদ্মবেশে
গোধুলি গোধুলি জামা গায়
থাকবেই তারা রসেবশে –
এ হেনতে মন যবে স্থির
কাহিনীতে যুবতীটি নেই
শেষ পাতা পড়া হয়ে গেলে
শুরু দিয়ে কি করবে বই?
দরজা থাকলেই
১
কালকেও অ্যালার্ম বাজবে
ব্যাস্তসমস্ত উঠে পরব
বারান্দা থেকে রাস্তায়
তাকিয়ে ভাবব গিয়েছি,
রাস্তায় বারান্দাকে ডাকব
‘এসেছি’
২
পাঁজরে সন্তানের শোক
ফিরতে পারিনি
উপগত হওয়া জানি, ছুঁতে পারিনি
স্থাপত্য অটুট রেখে
এসেছি রাস্তায়
পা’য় সন্তানের শোক
যুদ্ধে যাইনি
৩
এমন না যে ঘুমোতে পারি না,
জেগে যন্ত্রণাকেও বলি, ‘মুখোমুখি এসো’!
চারটে দেওয়ালকে বাড়ি বানাতে পারি না?
বিজ্ঞাপন হার মানিয়েও ছেড়ে গিয়েছি!
দরজা থাকলেই আটকে যাই না
খুলে দিলেই যাব নাও হতে পারে,
এ নয় যে শোক করি না
উল্লাস করি না এ ভাবাও ভুল,
মৃত্যুর সামনেই নেচে উঠি,
তালে তাল দিয়ে
বেতালে সরিও নিশ্চুপ,
এমন না যে মরতে পারি না
বাঁচার আহ্লাদ উপড়েও ফেলি না
দোলাচলে দিন কেটে যায়
আলো-চালে রাত
যদিও নদীর মত লাগছে
চরিত্রে জলপ্রপাত;
অনেক হল, এ সব ভাল লাগে না
শ্রান্ত হয়েছে, যুদ্ধ-মগ্ন মন
শান্ত বসেছে, এবার গান
একটা কবিতার বই
একটা কবিতার বই পাওয়া যাচ্ছে
হাতে তুললেই একটা প্রজাপতি উড়ে যাবে,
সবুজ বাগানে নির্ভয় খরগোশ
লাল চোখ নিয়ে এদিক-ওদিক
তুরতুর ছুট,
একটা কবিতার বই পাওয়া যাচ্ছে
ঘ্রাণ নিলেই সমুদ্র উঠে আসবে
পরম নারীটির পাশ ফেরার আওয়াজ
বালিশে বিছানায় লেগে
ইমন কল্যাণ সাধছে
পুরুষ ডুবে যাচ্ছে
সন্ধিতে, স্বপ্নে
নারী উড়ে যাচ্ছে পেয়ারাবাগান
দস্যিপনার নতুন ট্র্যাকশ্যুট ছিঁড়ে
ঝাঁপিয়ে পরবে পড়শী পুকুরে,
একটা কবিতার বই নিষ্ঠ পিতা
ছপটি হাতে মাঝ-দুপুরে জল থেকে
মেয়েকে তুলতে এসে দাঁড়াচ্ছেন,
সন্ধেবেলা হাতে দিচ্ছেন নতুন গল্পের বই –
মা হয়ে কাঁদছেন
মেয়ে চলে যাচ্ছে শ্বশুরবাড়ি
মেয়ে চলে যাচ্ছে একলা বাঁচতে
মেয়ে চলে আসছে ক্রিকেট খেলতে
হাসছেন ক্ষ্যাপামিতে,
একটা কবিতার বই মেলায় এসেছে
ঝুমঝুমি হাতে শিশুর আহ্লাদ
ঠোঁট ফোলানো অভিমান
সারা গায়ে শিশুর গন্ধে মাতাল,
অথচ পাতা খুললেই সাদারা খয়েরী
জেব্রার দেশ থেকে
লক্ষ লক্ষ মানুষ
পকেটে একটা দেশ
পতাকার স্বাধীনতা তুলে
বারবার সীমান্তে দাঁড়াচ্ছে
যুযুধানরত বাহিনীদের নিশানায়
একটি কবিতার চেহারায়
ভালবাসা লিখে এক লোক
ইতিউতি দেখছে,
ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের তাড়া নিতে
লাল কাপড় কিনছে
জমানো খুচরোয়,
যে মেয়েটিকে ভালবাসে
ভোরে গিয়ে বলবে তাকে
মানত বেঁধে এসেছে
সন্ত্রাসী রাত-মহিষের শিং-এ,
ছেঁড়া ও রক্তাক্ত জামাটা
ফেলে যাবে নদীর পাড়ে,
যা চাইবে তাই যেন পায় মেয়ে
সাতরঙা দেশ, সুধান্যক্ষেত
গোলাপদীঘির মাছ
আকাশের কোবাল্ট ব্লু প্রত্যয়
লোকটার জীবনও অদেয় নয় –
মলাটে মোড়া কতগুলো পাতা
নন্দনচত্বরে ঘুরে বেড়াচ্ছে
কবি যা পারে
পারতে চেয়েছে
অফসেটে সব একটাই লাইন
‘ভাল থেক’,
ডাকাতের কবিতা পাওয়া যাচ্ছে
কাঙালের দেশে
গোয়েন্দা তদন্ত/৩
মুষ্টিমেয় ঘাতক কর্মচারী
নিকটে সূর্যাস্ত দেখে অত্যন্ত
নিজেদের সাইকেল সারায়,
তারা আসে,
তারা খসে যায় –
জ্যাকেট ও জিঘাংসার খুনী
আগামী পাঁচে কাজ সারবে,
আর্তোর ন’বছর পাগলা গারদ
প্রকাশকের খুন হয়ে যাওয়া
প্যারিসে বর্ণবিদ্বেষ খুঁটে
সে বারের কথোপকথন
বুলেটে রাখা
হাতের নাগালে এক পাত্র অন্তরাল
কবির মৃত্যুতে গাছে ফুল আসে
শ্বেতপত্রে নিহত তালিকা
জাতীয় পতাকা রাত বারোটার উৎসব।
জানাজা
জানাজা উঠুক, পা মেলাক জীবিতরা
আজ যাচ্ছি না,
এরপরে তো সবাই ফিরবে
শোকের চিহ্ন মুছে নেবে সযত্নে
নিয়মের মধ্যে, নিয়মের বাইরে
ওদের তো বেঁচে থাকতে হবে –
কদমবুসি তো করিনি চাচা
মাথা কখনো নামাইনি
মেরুদন্ডটা সোজা উঠেছে মাথায়
ভাঁজ হয় না, ভেঙে যায়
আপনি জানতেন
ভালবাসতেন,
আজ যাচ্ছি না,
পথে যারা যারা আছে
তাদের কিছু কাজ বাকী,
আজ করে ফেলি
কালকের জন্য কিচ্ছু রাখছি না
কালটাই রাখছি না,
শব্দ ও দৃশ্যের শ্রমিক
কবি বললে গালির মত লাগে
শিল্পী বললে জোকার
মানুষ বলতেন
সন্তান হয়ে যেতাম
তবু যাচ্ছি না,
এই শেষবারের মত
সেই প্রদীপের খেলা জ্বেলেছি,
নইলে হাতের কবজি থেকে
কতবার কেটে গেছে
আপনি দেখেছেন
কাটা হাতে সাইকেল কিম্বা বাইকে
তৌহিদুলকে বাড়িতে নামিয়ে
কবে থেকে গরঠিকানা,
ঘর হয়নি
ঘর হবে না,
কদমবুসি কখনো করিনি
শীর্ণ আঙুল গালে-মুখে রেখেছেন
শোকগুলোকে বলেছি
‘পরে এস, পিতার সামনে
ডেক না বিভ্রান্ত’,
আপনি ঘালিব দিয়েছেন সান্তনা
আসাদুল্লাহ্ পেয়েছি আস্তানা,
জানাজা উঠুক, পায়ে পা জীবিতরা
একলা একলা যাব
জানি কেউ সঙ্গে যাবে না
মেরুদন্ড করোটিতে গাঁথা
ভাঙব,
গুস্তাখি করব না
আগুনে পুড়ব চিহ্নহীন
দাফ্নের স্মৃতিও রাখব না
আসুন চাচা, আপনার শায়ের-এ-দর্দ
তাঞ্জাম নামাচ্ছে না
এখনই না
একটু দাঁড়াও, এখনই না
সন্ধে সবে জমেছে
বই-এর গন্ধ এখনো ফিকে না
বাঁধাই নিয়ে অনুযোগ
ছাপার ভুল
এ সব কথা
ততটা জরুরীও না
একটু দাঁড়াও, এখনই –
এ সব বলতে আসিনি
আসিইনি,
বলতে চেয়েছিলাম
দেখছ তো কেমন করে আছি
ছটফট করেছি গোটা বিকেল
সন্ধেতে বাইকে হামলে
চলে এসেছি
ঘর বলতে কিছু হল না
খুব চেয়েছিলাম
কিছুতেই হল না,
না না, লড়াই ছেড়েছি কই?
ইঞ্চি ইঞ্চি করে জমি
ছিনিয়েছি, বানিয়েছি
ভেঙেও ফেলেছি
হা হা, ভেঙেও ফেলেছি
হা হা, ভেঙেও –
ভাঙছি বুঝলে
ভেতরে ভেতরে পাড়,
এখন যা কিছু পারব
রেখে যাব গোপনে,
কেন না দেবার হাতে কড়া
দেবার হাতে
দড়িদড়া,
এখনই না, একটু দাঁড়াও
গীন্সবার্গটা পরে
কমলকুমার দেশজ বুঝলে
গল্পের মধ্যে একটা রাস্তা
রাস্তার মধ্যে একটা দেশ
ধুতি, খালি গা
খালি গা’র পাঁজর ঘেঁষে
বেঁচে বাংলা ভাষা
অননুদিত বাংলা
অনেকটা উজিয়ে এসে
এ সব আর কাকে বলব?
যাবার সময় হয়নি
এভাবে একলা ছেড়ে
স্বার্থপরের মত বলছি
এখনই না, একটু দাঁড়াও
যে ভাবে মাটি ভাঙছে
সময় আসছে তো
দুজনেই
সুখটান দিতে দিতে
সান্ধ্য আড্ডার শেষে যেমন
দু’দিকের বদলে একদিকে
একসঙ্গে,
এখনই না
এই তো ক’দিন হল একটু বাঁচছি
টান দিও না,
ও মুখ বড় প্রিয়
আরেকটু দেখি
চা খাও আরো কাপ কয়েক
আচ্ছা, না হয় বিদেশী হুইস্কিই সই,
শালা, আন্ডারগ্রাউন্ড
আজকাল বড্ড তেল হয়েছে
বাংলা ছেড়েছ না?
খাও,
কয়েকটা দিন দাও
একসঙ্গে হৈ হৈ করে যাওয়া যাবে
প্লীজ, এখনই না